সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা:
বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি-দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদেরকে শিশুসদনে রেখে শিক্ষা প্রদান করে যাচ্ছে এক বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং তার শিষ্য মন্ডলী নিয়ে। পাহাড়ের রাস্তায় আঁকাবাঁকা পথ ঠিক তেমনি উচু উঁচু বড় বড় পাহাড়। এই পাহাড়ে বসবাস করে পাহাড়ি শিশুরা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারে না। স্কুলে যেতে হলে অনেক দূর পায়ে হেঁটে যেতে হয়। বর্ষাকালে তো আরো ভয়ানক অবস্থা।জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ির শেষ সীমানা গবাইছড়ি, থুমপাড়া, চংড়াছড়ি এইসব এলাকা হতে।
কালবৈশাখী ঝড় এবং বৃষ্টির কারণে ঠিক মতো স্কুলে যেতে পারে না। নেই কোন প্রযুক্তির শিক্ষা। যেখানে সমতলের শিশুরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে বসে ক্লাস করে। সেই জায়গায় দূরগম পাহাড়ের শিশুরা ঠিকমতো ক্লাসরুম ও পাই না । এ পাহাড়ি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কথা চিন্তা করে ভদন্ত দেব তিষ্য ভিক্ষু ২০১৭ সালে পালবার লিং সেন্টার শিশুসদনটি বিলাইছড়ি বাজার সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার পাশে প্রতিষ্ঠা করে।
সে সময় থেকে আজ পর্যন্ত পড়াশোনার কার্যক্রম শুরু। প্রথমে শুরু দিকে অর্থে অভাব থাকলেও থেমে থাকেনি তার অদম্য উৎসাহ ও উদ্দীপনার কাজ। বৌদ্ধ ধর্মের মানবিক ও গুণাবলীর কথা মাথায় রেখে ধীর আত্মবিশ্বাস ও নিস্তার সাথে বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠীর কাছ থেকে তাহবিল সংগ্রহ করে এই বৃহৎ মানবিক কাজ আজ চলমান। বর্তমানে শিশুসদনে ১২০ জন ছাত্র রয়েছে। ১২০ জন ছাত্রদের মানসিক বিকাশ বৃদ্ধি পাওয়ার লক্ষ্যে ছাত্রদেরকে শিক্ষা প্রদান করে যাচ্ছে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এবং প্রাইভেট শিক্ষকরা। পাহাড়ে দুর্গম এলাকা হওয়ার কারণে আত্মা সংগ্রহ কষ্ট হলেও ছাত্রদের যাবতীয় খরচ নিয়মিত আশ্রম থেকে বহন করা হচ্ছে। যা সত্যিকারে প্রশংসনীয় মানবতার কাজ করে যাচ্ছে।