সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার গোল চত্বর এলাকা থেকে উপজেলা বিএনপির ২য়
যুগ্ম- আহবায়ক মোঃ আব্দুল হাই নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৯ লক্ষ টাকা
ছিনতাইয়ের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে
মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নবাসির আয়োজনে চালবন
পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন,ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী মোঃ
আব্দুল হাই,জেলা কৃষকদলের সদস্য মোঃ আব্দুল আজিজ মড়ল, জেলা শ্রমিকদলের
সদস্য লতিবুর রহমান,বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক মোঃ নবী
হোসেন,উপজেলা বিএনপি নেতা মোঃ হাদিছ মিয়া,উপজেলা যুবদল নেতা মোঃ
সাইফুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াত নেতা মোঃ ইয়াছিন মিয়া,মোঃ রওশন
আলী,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মাসুক মিয়া,উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন
সম্পাদদক মোঃ সাব্বির প্রমুখ।
বক্তারা বলেন গত ২১ এপ্রিল রোজ সোমবার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা চত্বরে বাঘবেড়
বাজার নিলামের জন্য বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির ২য় যুগ্ম আহবায়ক
সলুকাবাদ ইউপির ভাদেরটেক গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল হাইসহ তার
আরো ৬/৭জন ব্যবসায়ীক পার্টনারের ১৯ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার পথে দুপুর ১২
টায় পাশ্ববর্তী ফতেপুর ইউপির মুক্তিখলা মল্লিকপুর গ্রামের রনেল মিয়া, মনির
মিয়া ও কবীর মিয়াসহ ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র ব্যবসায়ী আব্দুল হাইকে
কিল ঘুষি মেরে তার সাথে থাকা ১৯ লাখ টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে
যায়। আহত ও রক্তাক্ত ব্যবসায়ী আব্দুল হাইয়ের চিৎকারে আশপাশে থাকা শতাধিক
লোকজন জড়ো হলে ও টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাৎক্ষনিক লোকজন ঘটনাস্থলে
এসে আহত আব্দুল হাইকে নিয়ে বিশ^ম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)
মুখলেছুর রহমানকে প্রথমে মৌখিকভাবে অবহিত করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্রে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। ঘটনার দিন বিকেলে ব্যবসায়ী
আব্দুল হাই বাদী হয়ে ছিনতাইকারী ফতেপুর ইউপির মুক্তিখলা মল্লিকপুর গ্রামের
রনেল মিয়া,কবির মিয়া,মণির হোসেন গংদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো
১০/১৫জনকে আসামী করে বিশ্বম্ভরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের
করেন। কিন্ত ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলে পুলিশ মামলাটি আমলে না নেওয়াতে
হতাশা ব্যক্ত করেন এবং অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে মামলাটি আমলে নিয়ে দোষীদের
দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায়এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান।
এ ব্যাপারে বিশ^ম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ মুখলেছুর রহমান
জানান,ঘটনার দিন উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বাঘভেড় বাজার নিলাম নিয়ে
বিএনপির দু”পক্ষের মধ্যে কিছু ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে উপজেলা
নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সামনে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়া হয়। দুপুরে
গোলচত্বরে নাকি পরে আবারো ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করে টাকা ছিনতাইয়ের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে উভয়পক্ষই
থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার যেহেতু ঘটনা ঘটেনি,তাই টাকা ছিনতাইযের
অভিযোগগুলো সত্য না হওয়াতে মামলা এফআইআর করা সম্ভব হবে না বলে তিনি
জানান।
কুলেন্দু শেখর দাস
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি