শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ধানক্ষেত থেকে মো. রাফি (২২) নামে এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১০ মে) দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
শুক্রবার (৯ মে) রাত সাড়ে ১১ টায় সৈয়দপুর-দিনাজপুর বাইপাস সড়কের ধলাগাছ সুখীপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাফি শহরের কয়ানিজ পাড়ার আব্দুল হাফিজ ওরফে হাফিজের ছেলে।
মাছ ধরার নিয়ে বিরোধের জেরে মামলা তুলে না নেয়ার কারণে বিবাদীরা তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাফির বাবা আব্দুল হাফিজ জানিয়েছেন, এক মাস আগে মাছ ধরা নিয়ে মুক্তারুল হোসেন ওরফে সোনার সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ হয়েছিল। এরপর থেকে সোনা ও তার সঙ্গীরা তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে ও তার ছেলেকে মারধর এবং লুটপাট করে।
আব্দুল হাফিজ আরও জানান, তার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তবে আইনের বিচার দাবি করায় তারা এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, রাফি গতকাল সন্ধ্যা ৭ টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। রাত ১ টার দিকে জানাজানি হয় যে একটি লাশ উদ্ধার হয়েছে, যা পরে তিনি শনাক্ত করেন। তার অভিযোগ, রাফির মাথায় ইট বা লোহা দিয়ে আঘাত করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর পুলিশ প্রধান আসামি মুক্তারুল হোসেন ওরফে সোনাকে গ্রেফতার করেছে। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফইম উদ্দিন জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। রাফির বাবা আব্দুল হাফিজ বাদি হয়ে ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন, এবং প্রধান আসামি মুক্তারুল হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, এবং নিহতের পরিবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।