মনির হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোর প্রধান ডাকঘরের নির্মাণাধীন ভবন থেকে নাইটগার্ড রবিউল ইসলামের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ মে) সকাল ৭টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে—এটি আত্মহত্যা, না পরিকল্পিত হত্যা তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
রবিউল ইসলাম মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার ধুয়াইল গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা আকবর আলী। সম্প্রতি বদলি হয়ে মাস দু’য়েক আগে যশোর প্রধান ডাকঘরে নাইটগার্ড হিসেবে যোগ দেন তিনি। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে মাগুরায় বসবাস করেন।
নির্মাণাধীন ভবনে মিললো মরদেহ
ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল কার্যালয়ের সুপার মনিরুল আল নূর জানান, রাতে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতেন রবিউল। ডাকঘরের পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে সকালে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে সহকর্মীরা পুলিশে খবর দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিউলের গলায় একটি দড়ি প্যাঁচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। রশি ছিঁড়ে যাওয়ায় পড়ে গিয়ে তার মাথা ফেটে যায়। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।
পরিবারের দাবি ও তদন্ত চলমান
রবিউলের শ্যালক শামীম জানান, “আমার দুলাভাই কয়েক মাস আগে যশোরে বদলি হয়ে আসেন। কেন এমন ঘটনা ঘটলো, আমরা বুঝতে পারছি না।”
পুলিশের বক্তব্য
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, “ঘটনাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। প্রাথমিকভাবে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পোস্ট অফিসের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।”
এদিকে, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সকাল থেকেই প্রধান ডাকঘর এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয়দের অনেকে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
শেষ কথা
রবিউল ইসলামের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছে পরিবার ও সহকর্মীরা।