নূর আলম,নেত্রকোণা
সারাদেশে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘দু:স্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)’। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সাল থেকে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে পরিচালিত হচ্ছে ডিএসকে আদিবাসী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টার।
আদিবাসী শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের দক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে চালু করা তিন মাস মেয়াদি এই প্রশিক্ষণ কোর্সে ৩৬টি সেশনে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন বয়সী প্রশিক্ষণার্থী। এখন পর্যন্ত তিনটি ব্যাচে ৩২ জন নারী ও ১৩ জন পুরুষসহ মোট ৪৫ জন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে সনদ অর্জন করেছেন।
শুক্রবার (২ মে) বেলা ১১টায় দুর্গাপুরের কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘরের হলরুমে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ডিএসকে’র নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহ। তিনি বলেন, “আদিবাসী জনগোষ্ঠী আমাদের সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু পিছিয়ে থাকা অংশ। তাদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে ডিএসকে নিরলসভাবে কাজ করছে। এই প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসকে’র সহকারী পরিচালক শামছুল আলম খান। সঞ্চালনায় ছিলেন আদিবাসী কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের ব্যবস্থাপক মোরশেদ আলম। আলোচনা পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক আলকাছ উদ্দিন মীর, ডিএসকে কৈশোর কর্মসূচির কর্মকর্তা দিলীপ কুমার ঘোষ, আদিবাসী নারী হোস্টেলের সুপার চিনু রেমা ও কম্পিউটার প্রশিক্ষক নুরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।
আলোচনা শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।