বিধান মন্ডল, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ফের কুমার নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে সদ্য নির্মিত খারদিয়া নতুন ব্রিজ এবং নদীর দুই তীরবর্তী বসতবাড়ি ও কৃষিজমি।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া নতুন ব্রিজ সংলগ্ন কুমার নদীর দক্ষিণ পাড়ে নাছির নামের এক ব্যক্তি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। স্থানীয়রা জানান, দিন-রাত নির্বিচারে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তলদেশ নিচু হয়ে যাচ্ছে এবং পানির স্রোতে দুই পাড় ধসে পড়ছে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো—নির্মিতব্য ব্রিজটির ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিবেশ ও অবকাঠামোর ওপর এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে।
এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, “বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পরিবেশবাদীরা বলছেন, “কুমার নদ শুধু সালথার সৌন্দর্য নয়, এর সঙ্গে জড়িত হাজারো মানুষের জীবিকা ও পরিবেশ। নদী ধসে গেলে পুরো অঞ্চল পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে।”
এদিকে, স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের প্রতি অবিলম্বে কঠোর অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, প্রশাসন একাধিকবার অভিযান চালালেও কিছুদিন পর আবারও বালু তোলা শুরু হয়—যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল গট্টি ইউনিয়নের বড়দিয়া বাজারে এক সমাবেশে শামা ওবায়েদ ইসলাম অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে সালথা উপজেলা প্রশাসনও খারদিয়া পুরাতন ব্রিজ এলাকায় একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করে ড্রেজার জব্দ করে।
