মোঃ আব্দুল কুদ্দুস
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে পাওয়ানাদারকে সরকারি ক্যানেলের সরকারি ৫০টি গাছ বিক্রি করে টাকা নিতে বলেছেন। এতেই পাওয়ানাদার হাজী রাসেল সেই গাছ স্থানীয় ব্যাপারী আবু তালেবের কাছে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। এমনই ঘটনা ঘটিয়েছেন উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের দাদপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মোঃ সেলিম। মঙ্গলবার আবু তালেব ১৪ টি গাছ কাটার পর এলাকাবাসীর বাধার মুখে কাটা বন্ধ রাখেন।
সরেজমিনে গেলে হাজী রাসেল এবং আবু তালেব জানান, উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের সুজাবুল আলম এবং তার ভাই দাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মোঃ সেলিম একটি সরকারি জোলা ২ বছরের জন্য ইজারা নেয়। এরপর একই গ্রামের হাজী রাসেলের কাছে ৪ বছরের জন্য সাব-লিজ দেন সেই জোলা। হাজী রাসেল যখন বুঝতে পারেন সেলিম গং ২ বছরের ইজারা নিয়ে ৪ বছরের সাব-লিজ দিয়েছে এবং ঠিকমতো পানি না থাকায় মাছ চাষ করার অনুপযোগী হয়ে গেছে তখন টাকা ফেরত চান। তখন হাজী রাসেলের টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে জলাশয়ের পাড়ে পুরনো ৫০টি ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি করে টাকা নিতে বললে হাজী রাসেল স্থানীয় ব্যাপারী আবু তালেবের কাছে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। মঙ্গলবার গাছ কাটতে গিয়ে ১৪টি গাছ কাটার পর স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে বন্ধ রাখেন।
এদিকে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্ত সুজাবুল আলম পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আরেক অভিযুক্ত সুজাবুলের ভাই দাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মোঃ সেলিমের বক্তব্যের জন্য গেলে তিনি সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মুরাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে তদন্তের জন্য সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। একজন সরকারি কর্মচারি যদি সরকারি সম্পদের ক্ষতির সাথে জড়িত থাকে তাহলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, কাটা গাছগুলো ঐ জায়গা থেকে সরাতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং দুইজন বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।