বাসুদেব রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি:
কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই জমজমাট হয়ে উঠছে নীলফামারীর হাটবাজার। জেলার অন্যতম পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী ভবানীগঞ্জ হাট এখন সরগরম কোরবানির পশু আর নানা পণ্যের কেনাবেচায়।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকেও ক্রেতা ও বিক্রেতারা ভিড় করছেন এই হাটে। গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি থেকে শুরু করে সবজি, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামালেও জমে উঠেছে বেচাকেনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত টোল অনুযায়ী গরু প্রতি ৫০০ টাকা, ছাগল ১৬০ টাকা, হাঁস-মুরগি ১০ টাকা এবং কাঁচামাল মনপ্রতি ১০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। টোল আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে হাটে মাইকিং ও চার্ট টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিক্রেতা কবিনুর রহমান বলেন, “এবার হাটের পরিবেশ আগের চেয়ে ভালো, ব্যবস্থাপনাও উন্নত।” কাঁচামাল বিক্রেতা মোখছেদ আলী জানান, “তহশীলদার নিয়মিত হাটে ঘুরে দেখছেন। কেউ যেন অতিরিক্ত টাকা না নেয়, তা দেখভাল করছেন।”
গরু কিনতে আসা মফিজার রহমান বলেন, “এবার হাটে স্পষ্টভাবে টোলের তালিকা টাঙানো রয়েছে, যা আগে কখনও চোখে পড়েনি। এতে প্রতারণা কমেছে।”
হাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাখা হয়েছে জাল টাকা শনাক্তকরণ বুথ ও মনিটরিং টিম। গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা এ এম কাউসার ঈ হুদা বলেন, “নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতেই আমাদের এই তৎপরতা।”
নীলফামারী সদর উপজেলার ইউএনও মো. সাইফুল ইসলাম জানান, “সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত কোনো টাকা নেওয়া যাবে না। কেউ ব্যত্যয় ঘটালে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।”