মোস্তাফিজুর রহমান, গাইবান্ধা (সাঘাটা, ফুলছড়ি):
গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকন গাছের খুঁটি ও পাতলা কাঠের পাটাতন দিয়ে তৈরি নড়বড়ে একটি সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন। যানবাহনের চাপ ও পথচারীদের নিয়মিত চলাচলে কাঠের পাটাতন আলগা হয়ে গেছে, আর নিচের খুঁটিগুলো নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। ফলে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান,গত বছরের বন্যায় সাঘাটা উপজেলার উত্তর উল্যা এলাকার শ্মশানঘাটিতে প্রধান সড়কের দুটি অংশ পানির স্রোতে ধসে যায়। তখন ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে একটি অস্থায়ী কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। তবে সেটিও এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, “বন্যা এলেই প্রতিবছর এই এলাকায় রাস্তা ভেঙে যায়। ফলে বিকল্প হিসেবে তৈরি করা সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। কিন্তু এটি খুবই দুর্বল ও বিপজ্জনক। শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে আমাদের খুব ভয় হয়।”
ষাটোর্ধে আমিনা বেগম বলেন, সাঁকোটি বিশেষ করে শিশু ও আমাদের মতো বৃদ্ধদের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। শীতের সকালের কুয়াশায় এটি আরও পিচ্ছিল হয়ে যায়, ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে।
ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফারুক হোসেন মণ্ডল বলেন, “ওই এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।” এছাড়ও ব্রিজ নির্মাণের জরিপ শেষ হয়েছে আশা করা যায় শীঘ্রই স্থানীয় ভাবে ব্রিজ নির্মাণ হবে বলে জানান।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসহাক আলীর জানান, গত বছরের বন্যায় সড়কটি ভেঙে যাওয়ার খবর শুনে সরজমিন উপস্থিত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অস্থায়ী সাকো নির্মাণের পরামর্শ দিয়ে আসি, বর্তমানে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের জন্য জরিপ শেষে হয়েছে এখন আমরা প্রস্তাব প্রেরণ করবো ।
কঠিন দুর্ভোগের কারণে স্থানীয়রা দ্রুত একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, সাঁকোটি অস্থায়ী সমাধান হলেও এটি দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর নয়। দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে কি না, সে দিকেই তাকিয়ে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,
গাইবান্ধা ( সাঘাটা ফুলছড়ি) সংবাদদাতা