সিলেট ব্যুরো:- শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামের কাতার প্রবাসী রশিদ আহমদ (২৮) নিহত হয়েছেন।
হামলায় প্রবাসী রশিদ আহমদের বড় ভাই রাজা মিয়া (৩৫) গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তী রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার(১৬মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে।
এঘটনায় সোমবার দুপুরে স্হানীয় উত্তেজিত জনতা হত্যাকারি সাজু, রাজুদের বসত ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
স্থানীয় ও নিহতের আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, ৫ দিন পূর্বে খালপাড় গ্রামের মৃত আনা মিয়ার ছেলে প্রবাসী রশিদ আহমদের ভগ্নিপতি একই গ্রামের মনির আহমদের ছেলে সালেহ আহমদের বাচ্চাদের সাথে একই বাড়ির মৃত মাহমুদ হোসেনের ছেলে রাজু আহমদ ও সাজু আহমদ গংদের পরিবারের বাচ্চাদের সাথে ঝগড়াঝাটি নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি স্থানীয় মুরব্বীয়ারা বসে দু’পক্ষকে নিয়ে আপোষে মিমাংসা করে দেন।
কিন্তু মাহমুদ হোসেনের স্ত্রী পাখি বেগম ও তার ছেলে সাজু আহমদ, রাজু আহমদ, পারজু আহমদ সালিশ বিচার না মেনে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সালেহ আহমদের বসত ঘরে গিয়ে তাকে বেঁধে মারপিট শুরু করে।
খবর পেয়ে সালেহ আহমদের স্ত্রীর ভাই কাতার প্রবাসী রশিদ আহমদ ও তার বড় ভাই রাজা মিয়া বোনের বাড়িতে গিয়ে ভগ্নিপতি সালেহ আহমদকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
এ সময় রাজু আহমদ, সাজু আহমদ, পারজু আহমদসহ তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবাসী রশিদ আহমদ ও তার বড় ভাই রাজা মিয়ার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুই ভাই গুরুতর আহত হলে তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল ৬টার দিকে প্রবাসী রশিদ আহমদ মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে প্রবাশী রশিদ আহমদের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে গ্রামের উত্তেজিত কিছু লোকজন সোমবার দুপুর ১২টার দিকে হত্যাকারী রাজু, সাজু গংদের বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। খুনীদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান চলছে বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।