মোঃ সাইফুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৮ নং ধোপাডাঙ্গা ইউপি ভূমি অফিসে ব্যাপক অনিয়মে সাধারণ মানুষের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সাধারণ জমির মালিকরা জমির খারিজ, খাজনা পরিষদের জন্য ধোপাডাঙ্গা ইউপি ভূমি অফিসে গেলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মোটা অংকের নগদ অর্থ বানিজ্য করে চলছে কর্মরত সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) মোখলেছুর রহমান।
সাধারণ জমির মালিকরা গণমাধ্যমকে জানান, ধোপাডাঙ্গা ইউপি ভূমি অফিসে জমির খারিজের জন্য গেলে, (তহসিলদার) মোখলেছুর রহমান বলেন, খারিজ করতে হলে আহাদের সাথে কথা বলেন, আহাদ জমির মালিকের সাথে মোটা অংক কন্ট্রাক করার পর খারিজের সুপারিশ করেন (তহসিলদার)।
এমন ভাবে প্রতি খারিজে সর্বনিম্ন ০৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেন কর্তাবাবু। শুধু এখানেই নয়, সাধারণ অজ্ঞ জমির মালিকদের পকেট ফুটোর হাতিয়ারের নাম খারিজ ও খাজনা। এখানেই থেমে নেই অনিয়ম, খাজনা পরিষদ করতে আসা মানুষ গুলোর সাথে ভিন্ন কায়দায় অর্থ হাতান।
বিভিন্ন দাগের মোট খাজনার টাকা গ্রহণ করে এক দাগের খাজনা রশিদ প্রদান করেন। অন্য দাগের বিষয় জানতে চাইলে, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে, পরবর্তী সংশোধন করার কথা বলে বিদায় করেন।
এব্যাপারে তহসিলদার মোঃ মোখলেছুর রহমানের সাথে সংবাদ কর্মীর কথা হলে, তিনি বলেন যে সকল ব্যাক্তি ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসেন, তারাই সংগে করে দালাল আনেন, আমার কোন নিজস্ব দালাল নেই।
মোট দাগের টাকা গ্রহণ করে একদাগের খাজনার রশিদ প্রদান ও খারিজের প্রস্তাবনায় অর্থ বানিজ্য বিষয়ে কথা হলে, এর কোন উত্তর দিতে পারেনি।
ভূমি অফিসের কে আহাদ, জানতে চাইলে তিনি বলেন আহাদ অনলাইনে খাজনার আবেদন করেন। আহাদের নিয়োগ বিষয়ে জানতে চাইলে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
খারিজ ও খাজনা বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমানের সাথে কথা হলে, তিনি গণমাধ্যম কর্মীকে জানান, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দালাল ধরতে উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে বলেন, তিনি বলেন খারিজের সরকারি ফী ১১৫০ টাকা, বেশি নেয়ার সুযোগ নেই।
যে অফিসে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হবে সুনিদ্রিষ্ট প্রমাণ পেলে উপজেলা প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।