মোহাম্মদ মাসুদ মজুমদার:
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ)-এর মহাখালী ক্যাম্পাস সোমবার (১৯ মে) পরিণত হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশে, যখন ইউল্যাব ফেয়ার প্লে কাপ ২০২৫-এ রানার্স-আপ হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএসইউ-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আতিকুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান খেলোয়াড়দের প্রশংসা করে বলেন,
“ক্রিকেটারদের অবশ্যই খেলাধুলার পাশাপাশি পড়াশোনাতেও মনোযোগী হতে হবে। কারণ পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান বিশ্বে টিকে থাকতে হলে নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।”
উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন,
“আইএসইউ শিক্ষার্থীরা শুধু একাডেমিক দিকেই নয়, খেলাধুলা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অসাধারণ সাফল্য অর্জন করছে। এই অর্জন প্রমাণ করে আমরা সঠিক পথে আছি। আমাদের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সর্বক্ষেত্রে উৎকর্ষের জন্য কাজ করতে হবে।”
উল্লেখ্য, দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আয়োজিত ইউল্যাব ফেয়ার প্লে কাপ ২০২৫-এর ১৫তম আসরে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করে আইএসইউ ক্রিকেট দল। গ্রুপ পর্বে আইইউবি, ইউআইইউ, ডিআইইউ ও আইইউবিএটি-কে পরাজিত করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে আইএসইউ।
ফাইনালে ইউল্যাবের কাছে পরাজিত হয়ে রানার্স-আপ হলেও পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে আইএসইউ টিমের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। দলের হয়ে তিনবার ম্যাচসেরা ও ‘ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট’ নির্বাচিত হন ক্রিকেটার মোহাম্মদ রমজান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ ট্রেজারার প্রফেসর এইচ. টি. এম. কাদের নেওয়াজ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মনজুর মোর্শেদ মাহমুদ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইএসইউ ক্রিকেট টিমের উপদেষ্টা প্রফেসর মোহাম্মদ আলী। বক্তব্য দেন দলের ম্যানেজার মুহাম্মদ আবু নাজিম এবং অধিনায়ক মাজহারুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে খেলোয়াড়দের নগদ অর্থ ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল গর্ব, অনুপ্রেরণা ও ভবিষ্যতের আশাবাদ—যা আইএসইউ-এর টিম স্পিরিট এবং সামগ্রিক অগ্রগতির প্রতিফলন ঘটায়।