রিপন মারমা, রাঙামাটি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ধারার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটিতে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) সকাল ১০টায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি নির্মল বড়ুয়া মিলন।
অনুষ্ঠানে স্বৈরাচারবিরোধী এবং গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সংহতি প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন। সংহতি প্রকাশকারী সংগঠনের মধ্যে ছিল—ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাঙামাটি জেলা কমিটি, খেলাফত মজলিশ, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) এবং রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম হোসেন, খেলাফত মজলিশের মাওলানা সামশুল আলম, জিওপির সদস্য সচিব ওয়াহিদুজ্জামান রোমান, বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থার নেতা শ্যামল চৌধুরী এবং পার্টির নেতৃবৃন্দ মো. আবুল হাশেম, অমর চাকমা, এমিলি চৌধুরী, মেকি চাকমা, চম্পা চাকমা, অরুণজিতা চাকমা, নারগিস আক্তার, রূপনা চাকমা, বিলকিস বেগমসহ জেলা-উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক জুঁই চাকমা।
ইতিহাস ও ভূমিকা
২০০৪ সালে ওয়ার্কার্স পার্টির একাংশের সুবিধাবাদী নেতৃত্ব প্রত্যাখ্যান করে সাইফুল হকের নেতৃত্বে গঠিত হয় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। ২০০৮ সালে কোদাল প্রতীকে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন লাভ করে পার্টি। ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলটি সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় ও ভোটাধিকার রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত থাকে।
বিগত দেড় দশকে তেল-গ্যাস, সুন্দরবন রক্ষা, শ্রমিক-কৃষক, নারী অধিকার, সাংস্কৃতিক আন্দোলনসহ গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের প্রতিটি পর্যায়ে পার্টি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। ২০২৩ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দুই সদস্য শহীদ হন এবং শতাধিক কর্মী আহত হন।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এক বিবৃতিতে বলেন, “ভবিষ্যতেও গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও জনগণের ন্যায্য দাবির পক্ষে আমাদের আপোষহীন সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।” তিনি দেশবাসীর সহযোগিতা ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির সমর্থন কামনা করেন।