শাহরিয়ার কবির, পাইকগাছা (খুলনা):
মানুষের জন্যই মানুষ—এই বিশ্বাসে জীবনের চার দশক ব্যয় করেছেন বৃক্ষপ্রেমিক সিদ্দিক গাজী। অথচ আজ তিনি নিজেই অসহায়। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা খাঁদিজার অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের খরচ জোগাতে তিনি ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে।
সিদ্দিক গাজী (৬৯) খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনি ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের বাসিন্দা। জীবিকার তাগিদে শাকসবজি বিক্রি করেন, আর মানবতার দায়ে বৃক্ষরোপণ করেন। ১৯৮৫ সাল থেকে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা ও আশপাশের জেলায় তিনি প্রায় ১২ হাজার বকুল গাছ রোপণ করেছেন। ২০১৫ সালে বিটিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান “ইত্যাদি”তেও তার এই অবদান তুলে ধরা হয়, যেখানে তিনি ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার পান এবং তা-ও ব্যয় করেন গাছ লাগানোর পেছনে।
সম্প্রতি তার একমাত্র স্কুলপড়ুয়া মেয়ে খাঁদিজার অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা পড়ে। অপারেশনসহ ওষুধের খরচ বাবদ প্রয়োজন প্রায় ১৫ হাজার টাকা। নিজের সামান্য সঞ্চয় ও শাক বিক্রির আয় থেকে মাত্র তিন হাজার টাকা জোগাড় করতে পেরেছেন তিনি। এখন মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে সমাজের সহানুভূতির প্রত্যাশায় ছুটছেন প্রতিনিয়ত।
বৃক্ষপ্রেমিক সিদ্দিক গাজীর কথা উঠে এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও মানবিক উদ্যোগে। আজ তিনি নিজেই মানবিক সহায়তার আবেদন জানিয়ে বলেছেন, “জীবনভর মানুষ ও প্রকৃতির জন্য কাজ করেছি। আজ আমার মেয়েটার বাঁচার জন্য আপনাদের পাশে দরকার।”
সহযোগিতার জন্য সিদ্দিক গাজীর পার্সোনাল বিকাশ/নগদ নম্বর: ০১৯৫৬৬৩৯৭৬৭