হুমায়ন কবির মিরাজ: যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালিতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গদখালি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল মামুন বাপ্পি, দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, বেলেমাঠ গ্রামের জাবেদ হোসেন এবং পটুয়াপাড়া গ্রামের আমিনুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেলে গদখালি বাজার এলাকায় এক তরুণীকে কৌশলে ফাঁদে ফেলে অভিযুক্তরা তাকে একটি পরিত্যক্ত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, নির্যাতনের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তবে ততক্ষণে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে এবং রাতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকি বলেন, “ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে, এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগী তরুণী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাকে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা ও কাউন্সেলিং দেওয়া হচ্ছে। মামলাটি দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। অভিযুক্তদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।