ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গৌরিপুর সার্কেল দেবাশীষ রায় ও ঈশ্বরগঞ্জের ওসি ওবায়দুর রহমান ও আঠারো বাড়ী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়াকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ না করা হলে ঈশ্বরগঞ্জ থানা ঘেরাও করা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ১৫ দলীয় সমমনা গণতান্ত্রিক জোট।
১২ মার্চ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৫ দলীয় সমমনা গণতান্ত্রিক জোটের প্রধান সমন্বয়কারী মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার ও জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনা বিরোধী ময়মনসিংহ উত্তর গৌরিপুর সার্কেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দেবাশীষ রায়, ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান ও আঠারো বাড়ী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়ার শতভাগ সহযোগিতায় ময়মনসিংহ উত্তর জেলার ভূমিদস্যু, গাড়ী ছিনতাই, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী ও মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানীকারী, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে জনতার উপর হামলাকারী মোঃ শহীদ উল্লাহ, মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, মেহেদী হাসান রুবেল, রিফাত হাসান বাবুল ও তানভির হাসান সাগরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব সাবেক এমপি আহসান হাবিব লিংকন। তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের আয়োজনে সাত শতাধিকের বেশি কর্মসূচি পালন করেছে এবং সেই সময় নানারকম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তবুও রাজপথ ছেড়ে যায়নি। সেই দলের দুঃসময়ের পরীক্ষিত নেতা মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের উপর ফ্যাসিবাদ পতনের পর কিভাবে অভিযোগ দায়ের করা হলো এটিই আমার বোধগম্য হচ্ছে না। আমি আশা করবো এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, ডিআইজি দ্রুত হস্তক্ষেপ করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি অভিযুক্ত আওয়ামী দোসর পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তিনি আরো বলেন, দেশে হচ্ছেটা কি? যেখানে আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাবো সেখানে আমাদেরই ঘুম হারাম করে দিয়েছে সেই দোসররা। ঈশ্বরগঞ্জে যারা ভূমিদস্যু ও খুনের আসামী, গাড়ী ছিনতাইকারী এবং আওয়ামী লীগের চিহ্নিত দোসর তারা কিভাবে থানায় গিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আর সেই অভিযোগ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বর্তমানে গৌরিপুর সার্কেল দেবাশীষ রায়ের নির্দেশে ঈশ্বরগঞ্জ থানাকে আওয়ামী লীগের অফিস বানিয়ে ফেলেছে।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে ১৫ দলীয় সমমনা গণতান্ত্রিক জোটের প্রধান সমন্বয়কারী মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ঈশ্বরগঞ্জের সাধারণ মানুষদেরকে সাথে নিয়ে থানা ঘেরাও করা হবে। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণিত হলে যে কোন শাস্তি আমি মাথা পেতে নিবো। কিন্তু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগ যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে যারা মদদ দাতাসহ আওয়ামী দোসর পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, গত ১৬ বছর সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে আমরা কাজ করেছি। সেই কাজ ভেবেছিলাম ফ্যাসিবাদ পতনের পর শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখছি ফ্যাসিবাদের দোসররা সব জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছে। আর সেই কারণে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামের সাহসী নেতা মোঃ সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণে আমাদের প্রেসক্লাবের সামনে দাড়াতে হয়। এটি হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। অবিলম্বে আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি জোর দাবি জানান।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে আরো বক্তব্য রাখেন, নারীনেত্রী এডভোকেট আজমেরী বেগম ছন্দা, সাংবাদিক নেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।
বার্তা প্রেরক
এডভোকেট মাইনুদ্দিন মজুমদার
সহকারী সমন্বয়কারী
সমমনা গণতান্ত্রিক জোট