মোঃ মামুন মোল্লা, খুলনা ব্যুরো প্রধান:
ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং রাখালী শিরোমণি বাজার শাখার পরিচালক শেখ মিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে এবং ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের পাওনা আদায়ের দাবিতে খুলনার শিরোমণিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২১ মে) সকাল ১১টায় খুলনার শিরোমণি ১ নম্বর আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৬০ জন গ্রাহকের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রোজিনা সুলতানা।
তিনি বলেন, “ডাচবাংলা ব্যাংকের প্রতি আস্থা রেখেই আমরা বিভিন্ন মেয়াদী আমানত (এফডিআর) ও অন্যান্য ডিপোজিটে প্রায় ৪ কোটি টাকা জমা করি। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, পরিচালক মিরাজুল ইসলাম আমাদের ডিপোজিটের বিপরীতে তার ব্যক্তিগত চেক প্রদান করেছেন, যা সম্পূর্ণ প্রতারণার ফাঁদ ছিল।”
রোজিনা অভিযোগ করেন, “মাসিক এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে এক হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দীর্ঘদিন আমাদের বিভ্রান্ত রাখা হয়। মিরাজুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের মধ্যে রয়েছেন স্ত্রী পরশিয়া আশরাফি, শেখ শহিদুল ইসলাম, বান্ধবী রোমানা রহমান লিন্ডা, লিন্ডার মা রশিদা বেগম এবং বড় বোন ফাতেমা আক্তার মিনা।”
তিনি আরও দাবি করেন, “এই প্রতারক চক্রের নামে বা বেনামে প্রচুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব রয়েছে, যার তদন্ত হলে ঘটনার আসল চিত্র সামনে আসবে।”
এজেন্ট ব্যাংক পরিচালক মিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে খুলনার খানজাহান আলী থানায় ইতোমধ্যে সিআর মামলা নম্বর ৫১/২৫, ৫৫/২৫, ১১০/২৫ সহ মোট ১২টি মামলা দায়ের হয়েছে। চক্রের সদস্যদের মধ্যে শাহাবুদ্দিন জুয়েল, নবীর হোসেন, এবং স্ত্রী পরশিয়া আশরাফি বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।
তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ডাচবাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেয়নি। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের হস্তক্ষেপ কামনা করে এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা শক্তিশালীকরণের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক হালিফা খাতুন, খালেদা আক্তার, খুরশিলা আক্তারসহ অনেকেই। শেষে তারা মানববন্ধনের মাধ্যমে দ্রুত টাকা ফেরতের দাবি জানান এবং প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।