বাংলা এফএম ডেস্ক:
হবিগঞ্জের বাহুবলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাসচালকসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চারগাঁও এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
বাহুবল থানা সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা কুমিল্লাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস চারগাঁও এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী অপর একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কুমিল্লাগামী বাসের চালক আবুল কাশেম (৩৫) ও অপর এক অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত হন। পরে আহত তৌকির মিয়া (৩০) হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আহতদের মধ্যে ২৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বাহুবলের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ হবিগঞ্জ মর্গে রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় এলাকায় ভারী বজ্রবৃষ্টি হচ্ছিল, যা দৃশ্যমানতা হ্রাস করে এবং দুর্ঘটনা আরও ভয়াবহ করে তোলে। উভয় বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে বাহুবলের ডুবাঐ বাজার, রাবার সাইনবোর্ড, শেওড়াতুলী, মুগকান্দি, দৌলতপুর ও বিজলী ব্রিজ এলাকায় আরও চারটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় আরও ২০ জনের বেশি আহত হন, এবং কয়েকটি বাস ও ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ডুবাঐ বাজারে একটি বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে গুরুতর আহত ট্রাকচালক সোহেল মিয়াকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় এক ঘণ্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি এটিএম মাহমুদুল হক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলমান রয়েছে।”
এই দুঘটনাগুলো আবারও সড়ক নিরাপত্তার দুর্বলতা ও দুর্যোগকালীন সতর্কতার প্রয়োজনীয়তাকে সামনে নিয়ে এসেছে।