মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদ-উল আজহা আর মাত্র কয়েকদিন দূরে। মৌলভীবাজার জেলায় ইতিমধ্যে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর স্থায়ী হাটগুলো। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খামারিরা গরু ও ছাগল নিয়ে হাজির হচ্ছেন হাটে। তবে অস্থায়ী হাটগুলো এখনো অনেকটাই ফাঁকা। অনেকে ঝামেলা এড়াতে শেষ মুহূর্তের অপেক্ষায় রয়েছেন।
সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দীঘিরপাড় বাজারসহ জেলার ২২টি স্থায়ী হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জেলা জুড়ে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ৫৭টি পশুর হাট বসেছে,যার মধ্যে অস্থায়ী হাটগুলো এখনও জমে ওঠেনি।
স্থানীয় খামারিরা দীর্ঘদিন ধরে লালন-পালন করা পশু নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে হাটে আসছেন। ক্রেতারাও আগেভাগেই হাটে এসে পছন্দের পশু বেছে নিচ্ছেন এবং দরদাম করছেন। তবে অনেকেই বলছেন, এবার পশুর দাম তুলনামূলক বেশি।
একাধিক খামারি ও পাইকারের দাবি,গোখাদ্যের দাম বাড়ায় পশু পালনের খরচ বেড়েছে। সেই খরচ তুলতেই দাম কিছুটা বেশি রাখা হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আশরাফুল আলম খান জানান,সুস্থ পশু নিশ্চিত করতে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ২২টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে এবং বাজারজুড়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
তিনি জানান,এবারের ঈদে জেলার কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ৭৯ হাজার ৯২৯টি। এর বিপরীতে স্থানীয় খামারিদের কাছে মজুদ রয়েছে ৮০ হাজার ৬৩৭টি পশু,ফলে অতিরিক্ত রয়েছে প্রায় ৭০৮টি গবাদিপশু।
তিনি আরও জানান,চোরাইপথে বিদেশি পশু ঢোকা ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে,যাতে স্থানীয় খামারিরা ন্যায্য দাম পান।
স্থানীয় খামারিরা মনে করেন,সরকার যদি আরও বেশি পৃষ্ঠপোষকতা দেয়, তাহলে বড় পরিসরে খামার গড়ে উঠবে। এতে শুধু কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণই নয়,বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।