সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি :
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পল্লীতে গলায় ফাঁস দিয়ে এক সন্তানের জনক সোহেল রহমান ওরফে সুমন (৩০) নামের এক ভ্যানচালক আত্মহত্যা করেছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের সিদ্দিকিয়া তেলিপাড়ায় আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমন ওই এলাকার ভ্যানচালক ইয়াকুব আলী ও সুলতানা বেগম দম্পতির ছেলে। বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে ঘরের বাঁশের তীরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় তাঁর পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী।
খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশের এসআই মো. সোহরাব আলী ও সুভাষ চন্দ্র রায়সহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করেন। এসআই সোহরাব আলী জানান, মৃতের গলায় ফাঁস লাগানোর চিহ্ন ছিল।
মৃতের পিতা ইয়াকুব আলী জানান, সকাল ছয়টার দিকে তাঁর ছেলের বউ রিতা আক্তার প্রতিদিনের মতো কর্মস্থল নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে যায়। সকাল সোয়া দশটার দিকে স্ত্রী সুলতানা ও নাতনী সাথীকে (৫) নিয়ে চান্দিয়ার পাড় এলাকার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এ সময় ছেলে সুমন বাড়িতে একাই অবস্থান করছিল।
সকাল সাড়ে দশটার দিকে লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাসায় এসে দেখেন তাঁর ছেলে সুমনের নিথর দেহ। তিনি বলেন, তাঁর পুত্র নেশাগ্রস্ত ছিল। তবে কারও সাথে কখনও খারাপ আচরণ করেনি সে। কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা তিনি জানেন না।
মৃতের স্ত্রী রিতা আক্তার বলেন, তাঁর স্বামী নেশা করলেও কারও সাথে কখনও খারাপ আচরণ করেননি।
ওই এলাকার ওয়ার্ড মেম্বার মহির উদ্দিন বলেন, ভ্যানচালক সুমন ভালো ছেলে ছিল। তবে কেন আত্মহত্যা করলো তা বুঝতে পারছেন না তারা।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফইম উদ্দিন জানান, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তাঁর গলায় ফাঁসের চিহ্ন ছিল। এ বিষয়ে পরিবার ও এলাকাবাসীর কোন অভিযোগ না থাকায় আইনী প্রক্রিয়া শেষে মৃতের লাশ তাঁর পিতা ও স্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।