জামিউল ইসলাম তুরান, শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের সলফ গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি মুদি দোকানসহ ১০টি পরিবারের বসতঘর পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে। মাথা গোঁজার ঠাঁইসহ সব হারিয়ে মানবেতর দিন পাড় করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অর্ধশত মানুষ।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শকসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল জলিল।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, সলফ গ্রামের আব্দুর রর, আব্দুল শফিক, আব্দুল জলিল, আব্দুল মমিন, আবুল লেইস, ছয়ফুল মিয়া, আবুল হাসনাত, আব্দুল বাছিত, আব্দুল তাহির ও আব্দুল জাহির। এরমধ্যে আব্দুল জাহিদের মোদির দোকানও ভষ্মিভূত হয়। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল জলিল জানান, ‘আগুনের সূত্রপাত আব্দুল তাহিদের ঘর থেকে। আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শকসার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। মুহুর্তেই আগুন আশপাশের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। নিমিষেই সবকিছু পুঁড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোনোকিছুই অবশিষ্ট নেই।
পেশায় দিনমজুর আব্দুল জলিল আরোও জানান, আগুনে আসবাবপত্র, পরিধানের কাপড়, নগদ অর্থ, বাড়ির দলিলপত্র, এনআইডি, জন্মনিবন্ধনসহ গুরুত্বপুর্ণ নথি পুরোপুরি ভষ্মিভূত হয়েছে। বসতভিটা হারিয়ে এখন প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। সহায়-সম্বল হারিয়ে মানবেতর দিনপাড় করছেন তারা।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। স্থানীয়দের সহায়তায় ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মনোতোষ মল্লিক বলেন, “আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তবে আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রওনা দিয়েছেন উল্লেখ করে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে নগদ অর্থ সহায়হা প্রদান করা হবে। এছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে অন্যান্যা সহায়তা কার্যক্রম চলমান থাকবে।