নাজমুল হোসেন, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি :ইফতারে চাহিদা বেশি থাকায় গত দুই তিন দিনের ব্যবধানে রোজার মাস কে পুজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুন ভাবে বাড়িয়েছে।রাণীশংকৈল উপজেলায় রবিবার (২ মার্চ ) বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে ও সাপ্তাহিক সবচেয়ে বড় হাট নেকমরদের বিভিন্ন কাচামালের দোকান ঘুরে দেখাযায়,শিবলেশ জাতের লেবু ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা,শসা ২৫/৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০টাকা, মরিচ দেশি ৩০ টাকা থেকে বেড়ে৬০ টাকা,রাজশাহী জাতের বেগুন ২০/২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকায়, জাম বেগুন ২৫/৩০ টাকা থেকে ৬০টাকা,করলা দেশি ৭০/৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকা /দেশী রসুন কাঁচা ১০০ টাকা থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ১২০ টাকায়। তবে অন্যান্য বেশিরভাগ কাচামালের দাম ও মসলা জাতীয় জিনিসপত্রের দাম আগের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে কিছুটা। তবে মাছের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে আগের তুলনায়।
উপজেলার বটতলী এলাকার ক্রেতা জাহেরুল ইসলাম বলেন,বাংলাদেশ এমন একটা দেশ রমজান মাস আসলেই জিনিসের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। আনিসুর নামে এক ক্রেতা জানায় ২০ টাকার লেবু রোজা উপলক্ষে নাকি ৫০ টাকা হালা।এ কেমন দেশ রমজান মাস আসলেই এসব জিনিসের দাম দ্বিগুন হয়ে যায়।এছাড়াও আরো অনেকেই বলেন,বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামি দেশ গুলোতে রমজান মাস আসলে জিনিসপত্রের দাম অর্ধেকে চলে আসে আর বাংলাদেশ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়।
তবে ক্রেতারা বলছে কৃষক পর্যায়ে দাম বাড়িয়েছে আমাদের কি করার আছে।আমরা তো তাদের কাছ থেকে কিনে আনার পরে বাজারে বিক্রি করি। যেদিন যে রকম দামে কিনতে পারি সেভাবেই বিক্রি করতে হয় আমাদের।তবে রমজান মাস উপলক্ষেই কিছু জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে দুই এক দিনের মধ্যেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রেতার নাগালে রাখতে হলে প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে বলে মনে করেন অনেক ভুক্তভুগী।