জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে অংশ নিয়েছিলেন দেশের ছাত্র-জনতা। এই আন্দোলনে সারা দেশের মত মুক্তাগাছার ছাত্র জনতা যেমন রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে শহিদ হয়েছেন তেমনি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অন্যতম সংগঠক হিসেবেও রেখেছেন অবিস্মরণীয় ভুমিকা। মুক্তাগাছার সন্তান শহিদ মোঃ সামিদ হোসেন জীবন দিয়ে এই আন্দোলনকে সাফল্যমন্ডিত করেছেন আর এই আন্দোলনে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অগ্রসৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন মিয়াজ মেহরাব তালুকদার।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার কৃতি সন্তান মিয়াজ মেহরাব তালুকদার জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় উত্তরাঞ্চলের সংগঠকের নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও ২০১৩ সাল থেকে ভারতীয় আধিপত্য বিরোধী লড়াইয়ে সুপরিচিত মুখ। তিনি পিপলস এক্টিভিস্ট কোয়ালিশনের প্রধান সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পিপলস এক্টিভিস্ট কোয়ালিশন একটি এক্টিভিস্ট সংগঠন। এই সংগঠন ফ্যাসিবাদ বিরোধী এবং ভারতীয় আধিপত্য বিরোধী লড়ায়ে বয়ান তৈরি করার পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে দেশে-বিদেশে তুলে ধরেছে।
মিয়াজ মেহরাব তালুকদার মুক্তাগাছার দরিচারআনি বাজারের বাসিন্দা এবং তিনি মুক্তাগাছার ঐতিহ্যবাহী রাম কিশোর (আর কে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
উল্লেখ্য যে, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আত্মপ্রকাশ করেছিল আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তৈরি প্লাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটি।
যাত্রা শুরুর পর থেকেই ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি সারাদেশের জেলা, উপজেলা ও মহানগরে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মানিক মিয়া এভিনিউতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টির অভিষেক হয়।
বাংলাদেশের ক্ষমতাকেন্দ্রীক রাজনীতিতে গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক জোট আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
এ অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা এই পার্টি সংবিধান পরিবর্তন করে রাজনৈতিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে চায়। এই পার্টির আহবায়ক হয়েছেন নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়েছেন আখতার হোসেন।