শাহ আলম জাহাঙ্গীর, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার হোমনায় তিতাস নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশু নিখোঁজ হয়।
রবিবার (৬ এপ্রিল) সকালে শিশু মাহবুব এবং বিকালে শিশু মারিয়ার লাশ নদীতে ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা লাশ দুটি উদ্ধার করেন।
শনিবার (৫ এপ্রিল) বেলা এগারোটা থেকে বারোটার মধ্যে উপজেলার শ্রীমদ্দি গ্রামের গাঙকূল বাড়ির ঘাট থেকে শিশু মারিয়া (১১) ও এর পাঁচশ গজ দূরবর্তী কান্দা ঘাট থেকে শিশু মাহবুব (৯) নিখোঁজ হয়। ঈদের ছুটিতে মাহবুব তার নানার বাড়ি ও মারিয়া আক্তার তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
শিশু দু’টি নিখোঁজের পর থেকেই তাদের আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল চেষ্টা চালিয়ে শনিবার শিশু দুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি। এর একদিন পর চরের গাঁও সংলগ্ন তিতাস নদীতে শিশু মাহবুবের লাশটি ভেসে উঠে। পরে উদ্ধারকর্মীরা লাশটি তুলে আনেন। মাহবুব নরসিংদী জেলার রায়পুর উপজেলার বিল্লাল মিয়ার ছেলে। অপরদিকে রবিবার বিকেল পাঁচটার দিকে শিশু মারিয়া আক্তারের লাশটি উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশু মারিয়া (১১) বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে শনিবার বেলা এগারোটার দিকে তিতাস নদীর শ্রীমদ্দি গাংকুল বাড়ির ঘাটে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। মারিয়া আক্তার উপজেলার হুজুরকান্দি গ্ৰামের আলী নেওয়াজের মেয়ে; সে সপরিবারে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করত। শিশু মারিয়া আক্তারকে উদ্ধারে তিতাস নদীতে ডুবুরিরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। একই দিন শনিবার বেলা বারোটার দিকে নরসিংদী থেকে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসা মো. বিল্লাল মিয়ার শিশু পুত্র মাহবুবধ তিতাস নদীর কান্দা এলাকার ঘাটে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ দিদারুল আলম জানান, ‘শনিবার থেকেই আমরা নিখোঁজ দুই শিশুকে আমাদের ডুবুরিদের সহায়তায় খুঁজছি। এর মধ্যে রবিবার সকালে শিশু মাহবুবের লাশটি ভেসে উঠলে তাকে উদ্ধার করেছি। অপর নিখোঁজ শিশু মারিয়ার ভাসমান লাশটি বিকাল পাঁচটার দিকে নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের সহায়তায় নদীতে নিখোঁজ শিশু মাহবুব ও মারিয়া আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কারও অভিযোগ নেই।