সাইফুল ইসলাম, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নে সরকারি খাদ্য সহায়তার (ভিজিএফ) চাল বিতরণের সময় সুবিধাভোগী জেলেদের ওপরে হামলার ঘটনায় সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব’কে দায়ী করে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে, জেলেদের ওপরে হামলার ঘটনায় জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব প্রভাষক নাঈম সিকদার তারেক।
রবিবার (২৩মার্চ) দুপুর ২টায় উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। এরআগে গতকাল শনিবার ধুলিয়া ইউনিয়নে ১ হাজার নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে সরকারি খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণ করা হয়।
এসময় সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিবের নেতৃত্বে কয়েকজন জেলেকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেশের শীর্ষ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়েছে। এসময় এক সাংবাদিকের মোবাইলও ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ আসে গণমাধ্যমে।
কিন্তু উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও কালিশুরি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক নাঈম সিকদার তারেকের দাবি, স্থানীয়ভাবে চালের কেরিং খরচ বাবদ জেলেদের থেকে টাকা নেয়া হয়। এই টাকার ইস্যুতে জেলেরা নিজেদের মধ্যে মারামারিতে জড়ায়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে এবং সত্যতা যাচাই না করে কিছু গণমাধ্যম এ বিষয়ে সংবাদ প্রচার করেছে। তারেক নিজেই এ ঘটনার তদন্ত দাবি করে বলেন, আমি জড়িত থাকলে, আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হোক।
সংবাদকর্মীর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়ার প্রসঙ্গে সেচ্ছাসেবক দলের নেতা বলেন, তারা সম্পর্কে বন্ধু। নিজেরা আড্ডা দেয়ার সময় দুষ্টামির ছলে কেউ সেটি নিতে পারে। শুনেছি ১০ মিনিট পরেই তার মোবাইল ফেরত দেয়া হয়। এরসাথে উল্লেখিত মারামারির ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই বলেন তিনি। এ ঘটনায় সরেজমিনে জেলেদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে, আল আমিন নামের এক জেলের দাবি চালের পরিমাণ সম্পর্কে কথা বলায় অভিযুক্ত তারেকের নেতৃত্বে তিনিসহ কয়েক জেলের ওপরে হামলা করা হয়। জেলেদের আরেক পক্ষ বলেন, আল আমিনসহ কয়েকজন নিজাম নামের এক জেলেকে কেরিং খরচ দিতে দেরি হওয়ায় মারধর করে।
পরে নিজামের আত্মীয়রা আল আমিনকে মারধর করে। এরসাথে রাজনীতির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই৷ এদিকে, মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে কেরিং খরচের টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহিরুল সরদার।