শাহাদাৎ বাবু, নোয়াখালী সংবাদদাতা
নোয়াখালীর সদর উপজেলার মান্নান নগর বাজারে পরিকল্পিতভাবে আগুন দিয়ে দোকান ঘর পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা মান্নান নগর বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মান্নান নগর বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীগন ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী, বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নূরনবী বাবুল, বাজার ব্যবসায়ী ডা. গোলাপ রহমান, ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মো. ওমর ফারুক, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. ইউছুফ, নুর আলম সওদাগর, মো. রাশেদ রেজা সেলিম, সমাজ সেবক কামরুল হাসান রাজু, মো. শামিম উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও বক্তাগণ অভিযোগ করেন গত শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মান্নান নগর বাজারে হোরনের “চা” দোকানের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ১৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর আগে গেল বছরেও হোরনের চা দোকান থেকে এই বাজারে অগ্নিকাণ্ড হয়। ওই সময় ১৮টি দোকান বশ্মিভূত হয়েছিল। ওই সময় ক্ষতিগ্রস্ত ও বাজারের ব্যবসায়ী কমিটি তাকে নিষেধ করেছিল যেন এখানে চা দোকান না করে অন্য কোন ব্যবসা করে। হোরন কিছুদিন চা দোকান বন্ধ রাখে। পরবর্তীতে প্রভাব খাটিয়ে সে আবার চা দোকান চালু করে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অভিযোগ হোরন পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে এ ব্যবসায়ীদের ক্ষতি সাধন করেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা হোরন থেকে এ ক্ষতিপূরণ দাবি করে এবং একই সময় প্রশাসনসহ বিত্তবানদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার উদাত্ত আহবান জানান।
প্রসঙ্গত : গত শনিবার ২২ মার্চ দিবাগত রাত ১ টার দিকে সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের মান্নান নগর বাজারে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এতে আগুনে পুড়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। খবর পেয়ে মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ও সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।