শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু-আল-হাজ্জাজের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের নীলফামারী জেলা আহ্বায়ক সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিক এবং সদস্য সচিব আলিফ সিদ্দিকী প্রান্ত। এছাড়াও স্থানীয় শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নেন।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, “আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ওই সময়ের সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সুপারিশে যারা আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছে তারা এখনো বহাল। হাসপাতালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করছেন তত্ত্বাবধায়ক আবু-আল-হাজ্জাজ।
এর আগেও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমানের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া জনবলের শতকরা ৯০ শতাংশই ছিল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ওই সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর তাদের দ্বারা হামলার ঘটনাও ঘটেছিল।”
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, “সম্প্রতি এইসব কর্মীদের পুনরায় নিয়োগ দিয়ে তাদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন তত্ত্বাবধায়ক, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও বৈষম্যমূলক বলে অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। আমরা এই হাসপাতালে আওয়ামী লীগের পূনর্বাসন কেন্দ্র হতে দেব না। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু-আল-হাজ্জাজ বলেন, “আমি শুনেছি মানববন্ধন হয়েছে, তবে তারা কী বিষয়ে মানববন্ধন করেছে তা আমার জানা নেই। যদি আমার বিরুদ্ধে কারও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তাহলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত। কর্তৃপক্ষ যেই সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।”