মামুনুর রশিদ আবির, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে তৌহিদী জনতা লাঠি মিছিল শেষে আগুন দিয়ে
পুড়িয়ে দিয়েছে কথিত পীর রহিম বাবার মাজার। পীরের অনুসারী স্থানীয় ভান্ডারী
গং কর্তৃক কুরআন অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাতের প্রতিবাদে
তৌহিদী জনতার লাঠি মিছিল শেষে কথিত পীর রহিম শাহ ভান্ডারীর মাজারে
ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হাজার হাজার
তৌহিদী জনতা বিক্ষোভ ও লাঠি মিছিল, ভাংচুর ও অগ্নি-সংযোগে
অংশগ্রহণ করেন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রæয়ারি) বিকেল ৫ টায় ৩নং সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ
থেকে দলমত নির্বিশেষে উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও তৌহিদী জনতার
ব্যানারে আয়োজিত এক বিক্ষোভ ও লাঠি মিছিল বের হয়ে মাজারে গিয়ে ভাংচুর
ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় মাজার এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা ও ওরসের নামে
গান-বাজনা, খাবার আয়োজনের বিভিন্ন সামগ্রী ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ
ও লুটপাট করা হয়েছে।
স্থানীয় জনতা অভিযোগ করে জানান, কথিত পীরের এই মাজারে অসামাজিক
কার্যকলাপ, জিকিরের নারী-পুরুষ একত্র হয়ে গান-বাজনা ও ভন্ডামি করে থাকে।
এগুলিকে কোনভাবেই ইসলাম সমর্থন করেনা। মুসল্লিরা আরও বলেন, এই
অনৈতিক কাজ বন্ধের দাবিতে আমরা এর আগে বিক্ষোভ মিছিল ও গণ সমাবেশ
করেছি। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসি সহ উর্ধতন কর্মকর্তা
বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছি। কিন্তু কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা এ
ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইসলাম ও ধর্মের নামে কোনো ধরণের নোংরামি আমরা
ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতা কোনো ভাবেই বরদাস্ত করবোনা।
খবর পাওয়া মাত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম, হাকিমপুর-
ঘোড়াঘাট সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আ.ন.ম নিয়ামত উল্লাহ্ধসঢ়;,
ঘোড়াঘাট থানার ওসি নাজমুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মোঃ মামুনুর রশিদ আবির