যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি ইউনিয়নে চার যুবকের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে গদখালি ইউনিয়ন ছাত্রদলের দুই নেতা আব্দুল আল মামুন বাপ্পি ও ইয়াসিন আরাফাত রয়েছেন। তবে ঘটনাটির নতুন মোড় নিয়েছে একটি ভিডিওর কারণে, যেখানে তরুণী দাবি করেছেন, তিনি ৪ হাজার টাকার চুক্তিতে চারজনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছিলেন, কিন্তু তাকে পুরো অর্থ পরিশোধ করা হয়নি। টাকা না পাওয়ার কারণে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানান, যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল গদখালি বাজারের একটি নির্জন স্থানে অভিযুক্ত চার যুবক তরুণীকে ডেকে নিয়ে যান এবং সেখানে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ঘটনার পর তরুণী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করলে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে। আটক যুবকদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে এবং পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
তবে, তরুণীর ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, ঘটনাটি একটি পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে হয়েছিল, যেখানে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি শারীরিক সম্পর্ক করতে রাজি হন। কিন্তু তাকে মাত্র ৫০০ টাকা দেওয়া হয়, যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি পুলিশে অভিযোগ করেন। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ বলছেন, অর্থ লেনদেন যাই হোক, সম্মতি ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক হলে তা অপরাধ হিসেবেই গণ্য হবে, অন্যদিকে, কেউ কেউ বলছেন, এটি পরিকল্পিত চাঁদাবাজির ঘটনা হতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলছে এবং তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে। ভিডিওর সত্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি, দুই পক্ষের বক্তব্য নিয়েও তদন্ত করা হবে। অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে জেলা ছাত্রদল কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি জানান, সংগঠন অপরাধীদের দায় নেবে না এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, গদখালি এলাকায় অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ নতুন কিছু নয়, তবে এবারের ঘটনায় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, ঘটনা যাই হোক, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।