জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ—ঘুষের বিনিময়ে মোটরসাইকেল চোরকে ছেড়ে দিয়েছে থানা পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত হওয়া মনোয়ার হোসেন নামের এক চোরকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হলেও, মামলা না নিয়ে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন মোটরসাইকেল মালিক আবু ইউসুফ।
ঘটনা ঘটে গত ১১ মার্চ। ইউসুফ তার পালসার মোটরসাইকেল বাড়ির সামনে রেখে ঘরে ঢোকার পরপরই দুই চোর তা চুরি করে পালিয়ে যায়। পরে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং ফুটেজ ফেসবুকে পোস্ট করেন। ২৯ মার্চ স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযুক্ত চোর শনাক্ত হলে থানায় জানানো হয়, এবং পুলিশ অভিযান চালিয়ে মনোয়ার হোসেনকে আটক করে।
কিন্তু ইউসুফের অভিযোগ, থানায় মামলার আশ্বাস দিয়ে পুলিশ রাতে চোরকে রাখলেও সকালে গিয়ে দেখেন, চোর মুক্ত! তিনি বলেন, “নিজে চোরকে ধরতে সাহায্য করলাম, আর পুলিশই তাকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিলো। তাহলে বিচার পাবো কোথায়?”
থানার ওসি জাহিদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ঘুষের বিষয়টি ভিত্তিহীন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার সুযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।” তবে এই ব্যাখ্যাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে দাবি করেছেন ইউসুফের বাবা আব্দুল খালেক।
এলাকার ইউপি সদস্য মিনহাজুল ইসলাম চৌধুরী টোপন বলেন, “সিসিটিভিতে যে ছবি দেখা যায়, সে-ই মনোয়ার। অথচ তাকে ছাড়া হয়েছে—এটা পুরো এলাকাজুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।”
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও জাতীয়-আঞ্চলিক গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও অভিযুক্ত ওসি এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন, যা স্থানীয়দের মাঝে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে—ঘুষখোর পুলিশ কি আইনের ঊর্ধ্বে?
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব জানিয়েছেন, “তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”