জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নির্মাণাধীন দোতলা বাসায় চতুর্থ শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে ছাঁদ থেকে ফেলে দিয়েছে এক নরপিশাচ। পরে স্থানীয়রা আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
৯ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ১১ টায় উপজেলার বিনাই মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নরপিশাচ আব্দুল কুদ্দুস (৫০) কে আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার আতাহার বামন গ্রামের জাকিরের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সুত্রে জানা যায়, আব্দুল কুদ্দুস উপজেলার বিনাই মধ্যপাড়া গ্রামসহ এ এলাকায় দিনমুজরের কাজ করতো। কাজ শেষে ঐ গ্রামের মালোশিয়া প্রবাসী কাবিলের নির্মানাধীন দোতলা বাড়ীটিতে থাকত।
ঘটনার দিন শিশু শিক্ষার্থীটিকে বাড়ীটি সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একা পেয়ে আব্দুল কুদ্দুস মুখ চেপে ছাদের উপরে নিয়ে যান। বিষয়টি ঐ গ্রামের আব্দুল গনির স্ত্রী দেখতে পেয়ে গ্রামের অন্যান্য লোকজনদের খবর দেয়। তারা এসে বাড়িটির ভিতরে প্রবেশ করতে গেলে বাড়ীর দরজা ভিতর আটকা থাকায় উৎসুক লোকজন দরজায় লাথি ও চিৎসার করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে আব্দুল কুদ্দুস শিশু শিক্ষার্থীকে দোতলা ছাদের উপর থেকে মাটিতে ফেলে দেয়।
অপর দিকে ৯৯৯ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ উপস্থিত হোন। এসময় নরপিশাচ আব্দুল কুদ্দুস ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে।
নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক মালোশিয়া প্রবাসী কাবিলের মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি প্রবাসে থাকায় গ্রামে বসবাসের জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করছি। সেটি আমার স্ত্রী দেখভাল করে। বাড়িটি এখনো পূর্ণ নির্মাণ করতে পারিনি। স্ত্রীর মারফত জানতে পারলাম আমাদের গ্রামে একজন দিনমজুর কাজ করে আমার বাড়িট ফাঁকা পেয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরাধী যেই হোক আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করছি।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বীরেন্দ্র সিং জানান, ত্রিপল লাইনে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐব্যক্তি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, শিশু শিক্ষার্থীর বাবা মা ঢাকায় পোশাক কারখানা চাকুরী করা কারণে গ্রামে দাদা দাদীর সঙ্গে থাকতেন। সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।