সালেক হোসেন রনি, কিশোরগঞ্জ ।
কিশোরগঞ্জের মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের খোলা মাঠে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে পহেলা বৈশাখের আলোচনা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(১৪ এপ্রিল) সকালে জেলা সদরের মহিনন্দ ইতিহাস সংরক্ষণ পাঠাগারে পড়তে আসা সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে পহেলা বৈশাখের আলোচনা, দোয়া ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পর সম্পুর্ণ আগিলা পদ্ধতি (কলা পাতায়) দেশিয় বিরিয়ানী আপ্যায়ন করা হয়।
এর আয়োজক মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ ও পাঠাগার এবং যুব উন্নয়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল হক সাদী জানান, “পহেলা বৈশাখের দিনে শিশু বাচ্চাদের তৃপ্তিতে মনে প্রশান্তি লেগেছে। আমার জমজ কন্যা শিশুদের বায়না ছিলো আব্বু আমরা পরিবারে নয় আমাদের পাঠাগারে পড়তে আসা সুবিধাবঞ্চিত ঝড়ে পড়া শিশুদের নিয়েই বৈশাখের আনন্দ করতে চাই আর তাই আমার এই ক্ষুদ্র আয়োজন। এখানে মেসার্স ঈশা খা ইট খলায় কর্মরত শ্রমিকদের সুবিধাবঞ্চিত শিশুসহ এলাকার ত্রিশজন শিশুদেরকে বিনামূল্যে প্রতিদিন একজন দক্ষ শিক্ষকের মাধ্যমে পাঠদান করা হয়ে থাকে। আল্লাহ এই শিশুদের প্রয়াত স্বজনদেরকে বেহেশত নসীব করুন আর যারা জীবিত আছেন তাদেরকে নেক হায়াত দান করুন, শিশুরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠুক, আমিন।”
জেলা সদরের মহিনন্দ নীলগঞ্জ সড়কের পাশে অবস্থিত পাঠাগার প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ ও পাঠাগার এবং যুব উন্নয়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল হক সাদী। অতিথি ছিলেন মহিনন্দ ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাবুল, মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হোসাইন প্রমুখ।
পরে মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের জায়গাদাতা প্রয়াত নুরুল হকসহ পাঠাগারের সহযোগীতায় হিতাকাঙ্ক্ষীদের জন্য বিশেষ দুয়া করা হয়। এসময় মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ ও পাঠাগার,যুব উন্নয়ন পরিষদের সদস্যগণ ছাড়াও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত ২০১১ সালে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে গ্রামীণ জনপদের জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। পাঠাগারটি জেলা প্রশাসন ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের শ্রেষ্ঠ সম্মাননাসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। ২০১০ সালে যুব উন্নয়ন পরিষদটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে জেলায় যুব কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সমাজ কল্যাণে বিশেষ অবদান রেখে আসছে।