শাব্বির এলাহী, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
নানা অনিয়ম আর চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি হচ্ছে। টিসিবি স্মার্ট কার্ডধারী প্রায় ৫০ শতাংশই জানেন না কখন, কোথায় এসব পণ্য বিক্রি হবে।
বিক্রিকৃত পণ্যের মধ্যে নিম্নমানের পণ্য রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সরেজমিন পতনঊষার ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। লাইনে মাত্র ৫ থেকে ৭ জন লোক। উপস্থিত লোকজনের দাবি অনেকেই জানেন না। কিংবা কেউ তাদের জানান না। তবে টিসিবি ডিলার ও জনপ্রতিনিধিদের নিজস্ব লোকজনকে যথাসময়ে অবহিত করা হয়। স্মার্ট কার্ডধারী কিছু লোকদের কাছে পণ্য বিক্রি দেখিয়ে পরবর্তীতে সেগুলো চোরাই পথে অসাধু ডিলাররা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন বলেও তারা অভিযোগ করেন। স্মার্ট কার্ডধারী নিরীহ, সাধারণ জনগণ সহজে খবর পান না। একই অবস্থা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অনলাইন জটিলতা দেখিয়ে অনেকেই স্মার্ট কার্ডের আওতায় আসেননি। ফলে প্রতিটা ইউনিয়নে স্বল্প সংখ্যক স্মার্ট কার্ডধারী রয়েছে । এর মধ্যে পণ্য বিক্রির সময়েও তাদের ৫০ শতাংশকেই জানানো হয় না। একজন পণ্য নিয়ে গেলে তা দেখে অন্য কেউ আসেন কিংবা বাজারে আসলে পণ্য বিক্রি হচ্ছে দেখে দৌড়ে বাড়ি গিয়ে কার্ড নিয়ে এসে পণ্য সংগ্রহ করেন এমন বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
পতনঊষার ইউনিয়নের মনোয়ারা বেগম, মস্তর মিয়া বলেন, আমরা বাজারে এসে দেখি পণ্য দেওয়া হচ্ছে। আমাদেরকে আগে জানানো হয়নি। কোন সময়েই জানানো হয় না। অথচ যাদের কার্ড আছে তাদেরকে না জানালে মালামাল কিভাবে নিবে। বিক্রিকৃত পণ্যের মধ্যে সোয়াবিন তেলের রং লাল এবং চালও নিম্নমানের বলে ভোক্তারা অভিযোগ তুলেন।
তবে অভিযোগ বিষয়ে পতনঊষারে টিসিবি ডিলার শরীফ আলী বলেন, দু’দিন পণ্য বিক্রি হবে। একজনের দেখা দেখি অন্যজন জেনে যাবে। কোন সমস্যা হবে না। কমলগঞ্জ পৌরসভার ডিলার জয়নাল আবেদীন জানান, কার্ডধারীদের জানানোর দায়িত্ব আমাদের নয়। তাছাড়া যেসব পণ্য অতিরিক্ত থাকে সেগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো। যাদের টিসিবি’র কার্ড আছে শুধু তারাই পণ্য পাবে। মাল বিক্রির আগে যাদের কার্ড আছে অবশ্যই তাদেরকে বলতে হবে।