(জয়পুরহাট) জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আ’লীগের দুই নেতার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বাবু স্বপন রায় ও গোলাম মহিউদ্দিন।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) ক্ষেতললা উপজেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বাংলা বর্ষবরণ পহেলা বৈশাখ (নববর্ষ) অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা পরিষদ৷ অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে নিবার্হী অফিসার আসিফ আল জিনাত এর নেতৃত্বে বর্ণিল আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়।
আনন্দ শোভাযাত্রার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই আনন্দ শোভাযাত্রার ব্যানানের সামনে আওয়ামীলীগের দুই নেতার ছবিতে দেখা যায়। এনিয়ে উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
ওই শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ আল জিনাত, সহকারী কমিশনার (ভূমি জিনাতারা, কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দীপেন্দ্রনাথ সিং, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওবায়দুল হক সহ উপজেলা পরিষদের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ।
আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোফাজ্জল হোসেন, ইউনিয়ন পরিষদের প্যালেন্ট চেয়ারম্যান ও সাংস্কৃতিক কর্মীগন প্রমুখ।
শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনার চত্বরে এসে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পান্তাভোজ আন্তে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদেন তারা। আয়োজনের দ্বিতীয়ার্ধে ক্ষেতলাল পৌরসভা, বড়তারা, মামুদপুর ও বড়াইল ইউনিয়নের মধ্যে হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে বেলা ২ টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন নিবার্হী অফিসার। পরে ইউএনও’র বাংলোতে মধ্যাহ্নভোজে যান উপজেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ও ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান গণ।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ মাসুদ আঞ্জুমান বলেন, পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উপলক্ষে ফ্যাসিবাদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভাযাত্রা ও র্যালি করে থাকে তাহলে মোটেও সমচীন নয়। সে দায়িত্বশীল জায়গা থেকে সচেতন হওয়া উচিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
এবিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার অসিফ আল জিনাত বলেন, সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। কোন আওয়ামীলীগ যদি আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহন করে সিটি আমার চোখে পরেনি। আপনারা পুরো অনুষ্ঠানে ছিলেন মূল্যায়ন আপনাদের কাছে।
শাহীন শওকত, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপি,সাবেক সভাপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এই নেতা জানান৷ বিশ্ব স্বৈরাচার সরকারের, দীর্ঘ মেয়াদি প্ল্যান৷ গত ১৭ বছর তারা নিজ হাতে আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করেছে৷ সমগ্র বাংলাদেশ আমলারা, দায়িত্ব পালন করছে৷ সংস্কারের মাধ্যমে৷ দোসরদের আমলনামা মুছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি প্রোগ্রামে নিজেদের উপস্থাপনের মাধ্যমে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করে৷ এদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে৷
৫ আগস্টে স্বৈ-রাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর নিজেদের বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।