নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনতে নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫’ অনুযায়ী, আগে নিবন্ধিত ৯৬টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগের তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ প্রতিবেদন দেওয়া সংস্থাগুলোকেও ভবিষ্যতে নিবন্ধন দেওয়া হবে না।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক শরিফুল আলম জানিয়েছেন, নতুন নীতিমালার আলোকে শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
নতুন নীতিমালায় পর্যবেক্ষকদের বয়সসীমা ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর করা হয়েছে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি থেকে বাড়িয়ে এইচএসসি নির্ধারণ করা হয়েছে। নিবন্ধিত সংস্থা নির্বাচনের আগের দিন, ভোটের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তিনদিন পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাবে। নির্বাচন শেষে সাত দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নিয়মও রাখা হয়েছে।
এদিকে, ভোটার তালিকা সংশোধনে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’–এর খসড়ায় উপদেষ্টা পরিষদ নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে কিংবা যৌক্তিক সময়ে যারা ১৮ বছর পূর্ণ করবে, তাদেরও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
নতুন এই আইনের ফলে প্রায় ৬০ লাখ নাগরিক আগাম ভোটার তালিকায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে ইসি। আগে প্রতিবছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা ও ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হতো। ফলে অনেকেই ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতেন।
নতুন আইন ও নীতিমালাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। কিছু অভিজ্ঞ পর্যবেক্ষক সংস্থা এটিকে ‘নিবন্ধনের রাজনীতি’ বললেও, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের মতে, বিতর্কিত সংস্থাগুলোকে বাদ দেওয়া একটি সময়োপযোগী ও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।