রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও কক্সবাজার-নোয়াখালীর স্থানীয় জনগণের জন্য পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে প্রায় ৬৫২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার একনেকের চলতি অর্থবছরের শেষ সভায় এ প্রকল্পসহ মোট ১৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। সব মিলিয়ে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮,৯৭৪ কোটি টাকা।
‘বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় জনসমাজের সমন্বিত সেবা ও জীবন-জীবিকা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এর আওতায় কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ১১টি উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
প্রকল্পের মূল অর্থায়নে রয়েছে:
🔹 এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (ADB) ঋণ – ২৩২ কোটি টাকা
🔹 অনুদান – ৩০৭ কোটি টাকা
🔹 সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন – ১১২ কোটি টাকা
প্রকল্পের আওতায় উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত পানি সঞ্চালন লাইন, ২০টি মিনি ওয়াটার সাপ্লাই সিস্টেম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্কার ও ভাসানচরে স্লাজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এহতেশামুল রাসেল জানান, প্রকল্পের মূল লক্ষ্য রোহিঙ্গা শরণার্থী ও টেকনাফ-উখিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি কিছু কাজ হবে নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়ায়।
প্রকল্পটি আগামী জুলাই ২০২৫ থেকে শুরু হয়ে জুন ২০২৮-এ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়াও একনেক সভায় নারী, শিশু, শিক্ষা, মাদকাসক্তি পুনর্বাসন, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-পরিসংখ্যান সংশ্লিষ্ট আরও ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।