ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যাখ্যা চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ বিষয়ে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রবিবার (২৫ মে) ট্রাইব্যুনাল এ নির্দেশনা জারি করে। তদন্ত দলের অভিযোগ, ভারত থেকে দেওয়া বক্তব্যের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ এবং হুমকি প্রদানের মাধ্যমে আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন শেখ হাসিনা। এতে বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত হয় বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভারত থেকে শেখ হাসিনার দেওয়া একটি অডিও বক্তব্যে বলা হয়— “২২৭টি মামলা হয়েছে, ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি।” ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে উক্ত অডিওর সত্যতা নিশ্চিত হয়েছে বলে জানানো হয়। এর আগে প্রসিকিউশন টিম অডিও রেকর্ড আদালতে উপস্থাপন করলে তা আলামত হিসেবে গৃহীত হয় এবং ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়।
একই দিনে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র জমা দিয়ে জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রথম মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু করেছে প্রসিকিউশন বিভাগ। রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় ছয়জন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিবসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী সাত দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করতে হবে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে, কেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না।