‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। সোমবার সকাল ১১টার দিকে সচিবালয়ের বাদামতলায় তাঁরা একত্রিত হন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে মিছিল নিয়ে কর্মচারীরা সেখানে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কর্মচারীরা দাবি করছেন, নতুন অধ্যাদেশটি একটি ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’, যা সংবিধান পরিপন্থী। তাঁরা এর অবিলম্বে প্রত্যাহার দাবি করেছেন, অন্যথায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত এই অধ্যাদেশে সরকারি কর্মচারীদের অনুপস্থিতি, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, উসকানি বা কর্তব্যে অবহেলার মতো চারটি বিষয়কে অসদাচরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে কর্মচারীদের নিম্নপদে নামিয়ে দেওয়া, বরখাস্ত বা অপসারণের বিধান রাখা হয়েছে।
অভিযোগের ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং পরে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না, শুধু পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যাবে।
বর্তমানে দেশে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন, যাঁরা সবাই এই আইনের আওতায় পড়বেন।