পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে এবার রাখা হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের শোভাযাত্রা হবে আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও সমন্বিত। দেশব্যাপী ২৮টি জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা অংশ নেবেন এই আয়োজনে, যা ‘সকলের শোভাযাত্রা’ হয়ে উঠবে বলে আশা আয়োজকদের।
চারুকলার উদ্যোগে আশির দশকে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ যে নববর্ষ শোভাযাত্রার সূচনা হয়েছিল, সেটিই পরবর্তীতে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে পরিচিতি পায়। ২০১৬ সালে এটি ইউনেস্কোর ‘অমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
প্রতি বছরের মতো এবারও রমনার বটমূল থেকে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের পর চারুকলা অনুষদের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হবে শোভাযাত্রা। সাজসজ্জা, মুখোশ, প্রতিকৃতি আর ঢাক-ঢোলের তালে শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড়, শিশুপার্ক ঘুরে আবার টিএসসিতে গিয়ে শেষ হবে।
এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে: ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। আয়োজকেরা জানান, বাংলা সংস্কৃতির বৈচিত্র্য তুলে ধরার পাশাপাশি এই প্রতিপাদ্যের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। গত বছরের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পটভূমি তুলে ধরে তারা আশা করেন, দেশ আর কখনো অগণতান্ত্রিক শাসনের পথে পা রাখবে না।
নতুন নামে এবং নতুন বার্তায় বাংলা নববর্ষের এই শোভাযাত্রা আরও আনন্দময় ও অর্থবহ হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন সবাই।