সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে দেখা যায় তাকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরা অবস্থায়, মুখে হাসি নিয়ে আদালতের এজলাস থেকে হাজতখানার দিকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
বেলা ১১টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে এ দৃশ্য দেখা গেলে উপস্থিত জনতার একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা চিৎকার করে বলেন, “হাসে! শরম নাই? দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে, এরপরও হাসে? লজ্জা-শরম নাই। এদের বাঁচাই রাখা উচিত না।” তীব্র কটাক্ষ সত্ত্বেও ইনুর মুখের হাসি মিলিয়ে যায়নি। তিনি নিরুত্তর থেকে মুচকি হেসে এগিয়ে যান, সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নেরও জবাব দেননি।
পরে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, “মানুষ ভয় পেলেও হাসে। কারণ তারা দেখাতে চায় তাদের মনে ভয় নেই। কিন্তু সত্যি হলো, তারা জাতির কাছে তাদের কোনো অপরাধবোধ প্রকাশ করছে না।”
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার ওয়াপদা রোড এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে একটি ছাত্র-জনতার মিছিল বের হয়। মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন রমজান মিয়া নামের এক তরুণ। সকাল ১০টার দিকে তিনি পুলিশের গুলিতে বুকে গুলিবিদ্ধ হন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বেটার লাইফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়। তবে ঢামেক না গিয়ে নিকটবর্তী মুগদা মেডিকেলে নেওয়ার পথে দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী ইনুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সহিংসতা, পরিকল্পিত হামলা ও দায়সারা চিকিৎসার মাধ্যমে প্রাণহানির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।