গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত পদযাত্রা ও সমাবেশে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
সমাবেশে উপস্থিত এনসিপি নেতাকর্মীরা হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নিরাপত্তা দিতে না পারলে পুলিশ বলুক, আমরাই আমাদের নিরাপত্তা নেব।”
- কয়েকজন যুবক হঠাৎ সমাবেশস্থলে প্রবেশ করে চেয়ারে ভাঙচুর চালায়।
- একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
- পরিস্থিতি কিছু সময়ের জন্য বিশৃঙ্খল হয়ে পরে।
- এর আগে সকালে সদর উপজেলার খাটিয়াগড় চরপাড়ায় পুলিশের একটি গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটনায় আহত হন তিন পুলিশ সদস্য। তারা বর্তমানে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
- একই দিন দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়। এতে ইউএনও’র গাড়িচালক আহত হন।
ইউএনও এম রকিবুল হাসান বলেন, “এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পদযাত্রায় অংশ নিতে আসছিলেন। সেই পদযাত্রা বানচালের জন্য হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা জড়িত বলে সন্দেহ।”
১ জুলাই থেকে এনসিপি ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে। এরই অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ছিল।
এই ধারাবাহিক সহিংসতা গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক উত্তেজনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।