বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে ঐতিহাসিক ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’ চুক্তিতে সই করেছে, যা দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’-এর ৫৪তম স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে যুক্ত হলো। নাসার নেতৃত্বে মহাকাশ গবেষণায় শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ এবং টেকসই সহযোগিতা প্রচারের উদ্দেশ্যে ২০২০ সালে এই চুক্তি শুরু হয়। বাংলাদেশ এখন এই উদ্যোগের অংশ হয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা এবং সম্পদের দায়িত্বশীল ব্যবহারে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে যাচ্ছে, যা দেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এই চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন এবং বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন। এর ফলে বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
প্রতিরক্ষা সচিব আশরাফ উদ্দিন বলেন, “এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ তার মহাকাশ গবেষণা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে পারবে এবং নাসা ও অন্যান্য মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে প্রযুক্তি স্থানান্তর ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।” চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক মহাকাশ গবেষণার অংশ হতে পারবে, এবং দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নাসার প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হতে সক্ষম হবে।
এছাড়া, এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশ উন্নত স্যাটেলাইট প্রযুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রবেশাধিকার পাবে, যা জলবায়ু মনিটরিং, বন্যা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করবে। স্পারসোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো প্রযুক্তিগত সহায়তা পেতে সক্ষম হবে, যা বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী মহাকাশ শক্তি হিসেবে গড়ে তুলবে।
বিশ্বের ৫৩টি দেশ ইতোমধ্যেই আর্টেমিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় দেশগুলো। বাংলাদেশের এই চুক্তিতে যোগদান দেশের মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।