বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “দ্য ইকোনমিক টাইমস, ইন্ডিয়া টুডেসহ ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অভ্যুত্থান বা অস্থিতিশীলতার অভিযোগে যে খবর প্রকাশ করেছে, তা কেবল ভিত্তিহীনই নয়, বরং অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনও।”
বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, এই ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার প্রতিবেশী দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করার অপচেষ্টা।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “তথ্য প্রমাণ ছাড়া এমন চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি আঞ্চলিক সহযোগিতা ও পারস্পরিক সম্পর্কের জন্যও ক্ষতিকর।”
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি সুসংগঠিত, পেশাদার এবং সংবিধান অনুসারে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান। এই ধরনের অপপ্রচার দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।”
বাংলাদেশ সরকার আশা প্রকাশ করেছে যে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে এবং সত্যতা যাচাই না করে এ ধরনের গুজব ও অসত্য তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকবে।