বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা, যারা ভারতে এবং অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা ধীরে ধীরে ক্ষমতার পুনরুদ্ধারের জন্য ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন। বিশেষ করে সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং শীর্ষ নেতারা একত্রিত হয়ে ইফতার পার্টির মাধ্যমে গোপনে বৈঠক করছেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্রিয় হচ্ছেন। এই বৈঠকগুলোতে তাদের মূল লক্ষ্য হলো ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে উৎখাত করা এবং নতুন করে ক্ষমতায় ফিরে আসা।
ইফতার পার্টির মাধ্যমে ষড়যন্ত্র: কলকাতা, আগরতলা, মেঘালয়, দিল্লি ও অন্যান্য স্থানে পালিয়ে থাকা নেতারা একত্রিত হয়ে এই ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করছেন।
এই নেতারা কলকাতা, আগরতলা, মেঘালয় এবং দিল্লির মতো স্থানে তাদের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করছেন। তাদের উদ্দেশ্য হলো দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি করা। বৈঠকগুলোর মাধ্যমে তারা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করছেন, যা সরকারকে হটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিদেশি সহায়তা এবং গোয়েন্দা তৎপরতা: ভারতসহ অন্যান্য দেশের সহায়তা বা সমর্থন নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। বাংলাদেশ সরকারের গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
পলাতক নেতারা কিছু বিশেষ দেশের সহায়তা লাভের চেষ্টা করছেন। ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা সহযোগিতা করছে বলে তারা দাবি করছেন। তারা সরকার উৎখাত করার জন্য অস্ত্র এবং অর্থের ব্যবহার পরিকল্পনা করছেন, যাতে জনগণের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যায় এবং তাদের লক্ষ্য পূরণ হয়।
অস্ত্র ও অর্থের ব্যবহারের পরিকল্পনা: এই ষড়যন্ত্রে অস্ত্র এবং অর্থের ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে, যাতে দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায়।
এ ছাড়া, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত, যেমন মাদক ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, ঘুস-চাঁদাবাজি, এবং অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন। এই নেতাদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, এবং তাদের বহু অবৈধ সম্পদ রয়েছে। তারা বর্তমানে এসব অর্থ ব্যবহার করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন।
সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা: একাধিক বৈঠকে সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে উৎখাত করতে সহায়তা করবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন চক্রও তাদের সাথে যোগ দিয়েছে এবং তাদের ষড়যন্ত্রের অংশীদার হয়ে উঠেছে। বিশেষত, তারা ঈদ এবং বৈশাখকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের অঘটন ঘটানোর পরিকল্পনা করছে, যাতে সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ সৃষ্টি হয়। এসব পরিকল্পনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিহত করতে প্রস্তুত। নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে, এসব ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা শক্তিগুলো এখনও অপ্রকাশিত এবং তারা যে কোনো পরিস্থিতিতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য প্রস্তুত।