পঞ্চগড়ের ভিতরগড় সুইডাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে আল আমিন (৩৮) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। শনিবার (৮ মার্চ) ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আল আমিন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাতপাড়ার বাসিন্দা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, ভোররাতে আল আমিনসহ কয়েকজন যুবক ভারত থেকে গরু আনতে সীমান্তে গেলে বিএসএফের ৪৬ ব্যাটালিয়নের ভাটপাড়া ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
গুলিতে আল আমিন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে স্থানীয়রা জানতে পারেন, সীমান্তের শূন্যরেখায় একজনের মরদেহ পড়ে আছে।পরে তার পরিবারের সদস্যরা ছবি দেখে নিশ্চিত করেন, নিহত ব্যক্তি আল আমিন।
নিহত আল আমিনের মরদেহ বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে গেছে, যা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিজিবি বলেছে, “আমরা মরদেহ ফেরত আনার জন্য পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি।”
বিজিবির কড়া প্রতিবাদ
নীলফামারীর ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা জানান,
“সীমান্ত হত্যার ঘটনায় আমরা কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আলাপ চলছে। মরদেহ দ্রুত ফেরত পাওয়ার চেষ্টা চলছে।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে পরিস্থিতির খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি।
নিহত আল আমিনের পরিবারের সদস্যরা বিএসএফের গুলিতে হত্যার নিন্দা জানিয়ে মরদেহ দ্রুত ফেরতের দাবি জানিয়েছেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ
- বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক চলছে।
- নিহতের মরদেহ ফেরত আনতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
- সীমান্ত হত্যা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এই ঘটনার পর পঞ্চগড় সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে, এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বাড়ছে।