নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর দেওভোগের বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত ছয়টি হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান। প্রায় ৫০ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে অন্তত ৩০ জন বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে আসেন এবং বাড়ির সামনে অবস্থান নেন।
আইভীর মামাতো ভাই রেজাউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ আইভীকে গ্রেপ্তার করতে এলে এলাকার লোকজন রাস্তায় অবস্থান নিয়ে পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। বাড়ির ভেতরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি নাছির আহমেদসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য অবস্থান করছেন।
পুলিশ ও জনতার মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদি হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দেন, আইভীর বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাঁকে নিয়ে যেতেই হবে। এলাকাবাসী রাস্তায় অবস্থান করে পুলিশকে ঘিরে রাখেন। সেলিনা হায়াৎ আইভী বাড়ির ভেতরে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। রাত তিনটা পর্যন্ত পুলিশের অবস্থান চলছিল।