আজ শনিবার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নতুন একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। সংগঠনের নাম ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’। এই সংগঠনটি শহীদ পরিবারদের কল্যাণে কাজ করবে এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
জুলাই হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বলছেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে।
‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’
সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, এবং সমাজের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শহীদ পরিবারের সদস্যরা জাতির জন্য আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের এই ত্যাগ কখনোই বিস্মৃত হওয়া উচিত নয়। এই সংগঠনটি শহীদ পরিবারের সদস্যদের অধিকার আদায়ে কাজ করবে এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন রকম সহায়তা প্রদান করবে।
যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, ‘এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, তারা শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য আর্থিক সহায়তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ সৃষ্টি করবে, যাতে তারা আত্মমর্যাদা নিয়ে জীবনযাপন করতে পারে।
এই উদ্যোগ শহীদ পরিবারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তাদের উন্নয়নে অবদান রাখার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে, যা জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকে।
সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, ‘পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না।’
‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ শহীদ পরিবারের প্রতি জাতির দায়িত্ব এবং তাদের উন্নয়নে সমাজের বিভিন্ন স্তরের সহযোগিতার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে। তাদের পরিকল্পনায় শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ ভাতা, স্বাস্থ্যের উন্নতি, এবং সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা হবে।
এছাড়া, সংগঠনটি শহীদ পরিবারদের ঐতিহ্য এবং আত্মত্যাগের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানোরও পরিকল্পনা করছে।
সংগঠনটির আত্মপ্রকাশে শহীদ পরিবারগুলোর সদস্যরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং তারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা জানান, এতদিন তারা একা ছিলেন, কিন্তু এখন তাদের পাশে একটি সংগঠন রয়েছে, যা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করবে।
এছাড়া, অনেক সাধারণ মানুষও এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে এবং মনে করছেন যে, এটি শহীদ পরিবারদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ সংগঠনটির মাধ্যমে শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি নতুন আশার দিশা দেখিয়েছে। এখন দেখতে হবে, তারা কিভাবে তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি নিরাপদ এবং সম্মানজনক ভবিষ্যত তৈরি করতে পারে।