বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তীব্র ভাষায় আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো সরকার ছিল না, বরং এটি ছিল একটি ‘দস্যু পরিবার’। তার এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য
গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো সরকার ছিল না, এটি ছিল একটি দস্যু পরিবার। তারা দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে এবং জনগণের অধিকার হরণ করেছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “এই সরকারের সময়ে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসন সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত হয়েছে।”
প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “বর্তমান সরকারের আমলে দেশে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং অনিয়ম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের নীতিগুলো জনগণের কল্যাণের পরিবর্তে ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেছে।”
ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা উদ্বেগজনক। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় তাদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত।”
প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বক্তব্য সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্য সমাজের বিভিন্ন স্তরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকেই তার সমালোচনাকে যথার্থ বলে মনে করছেন এবং সরকারের আমলে দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা উল্লেখ করছেন। অন্যদিকে, সরকার সমর্থকরা এই বক্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নতুন一 বিতর্কের সূচনা করেছে। তার এই সমালোচনা সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন গতিবিধি সৃষ্টি করতে পারে। আশা করা যায়, এই বিতর্কের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।