অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এক বিস্ফোরক বক্তব্যে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ছিল আইন মন্ত্রণালয়ের আইসিটি আইনের খসড়ায়, এবং তিনিই সেই প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে চালানো মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, “আমি নিজের উত্থাপিত খসড়ার বিরোধিতা করব, এটা কেমন করে সম্ভব?”
তিনি আরও বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশযাত্রা ঠেকানো পুলিশের দায়িত্ব, যা আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নয়। “আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে শুধুমাত্র নিম্ন আদালতের বিচারকরা। আদালতের বিচারকদের কাজ বিমানবন্দরে পাহারা দেওয়া না,”— বলে তিনি স্পষ্ট করেন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে মতানৈক্যের গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে কোন দ্বিমত নেই, পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, শুধু আইসিটি আইনই নয়, সন্ত্রাস দমন আইন সহ অন্যান্য আইনের মাধ্যমেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব।
আসিফ নজরুলের বক্তব্যে উঠে আসে, আইনি ভিত্তি প্রস্তুত এবং রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকলেই খুব শিগগিরই আইনানুগভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে। তার কথায়, “আমরা সেই প্রত্যাশায় আছি। ইনশাল্লাহ্।”