আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন এ আইনে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষে বা সমর্থনে কোনো ধরনের সংবাদ, প্রচারণা, মিছিল কিংবা সভা-সমাবেশ আয়োজন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা গণমাধ্যম আওয়ামী লীগের পক্ষে বিবৃতি প্রকাশ, প্রচার বা সংবাদ পরিবেশন করলে তার বিরুদ্ধে সর্বনিম্ন দুই বছর এবং সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের মতানুযায়ী, গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগ সম্পর্কিত কোনো খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এমনকি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটেও দলটির নাম উল্লেখ করলে ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল’ হিসেবে চিহ্নিত করে উপস্থাপন করতে হবে, না হলে আইনগত জটিলতায় পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
অন্যদিকে, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল জানিয়েছেন, আইনটি মূলত নিষিদ্ধ সংগঠনকে সমর্থনকারী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রণীত। সরাসরি সংবাদমাধ্যম এ আইনের লক্ষ্যবস্তু নয় বলেই তিনি মনে করেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রয়োজন বলে তিনি মত দেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আলোকে এ সংশোধনী আনা হয়েছে। এর আওতায় ইতোমধ্যে ছাত্রলীগকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অতীতে আওয়ামী লীগ সরকার নিজেই জামায়াত ও শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ আইন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করার উদ্দেশ্যে নয়। বরং চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর সবধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার জন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।